আপডেট প্রতিনিধি, বক্সনগর, ০৬ জানুয়ারী || সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে রতন লাল নাথ বক্সনগর প্রথম সফর করলেন। বুধবার বক্সনগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় ও ভেলুয়ারচর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ। জানা গেছে, গত আট বছর ধরে বক্সনগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় দ্বিতল ভবনটি কাজ চলছে। আট বছর কেটে গেলেও নতুন ভবনের কাজ সম্পন্ন হয়নি। তাই শিক্ষামন্ত্রী নিজেই ছুটে এসেছেন বক্সনগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে। তিনি প্রথমেই এসে বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন সহ পুরো এলাকাটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি জেলা শিক্ষা আধিকারিক হাবুল লোধ ও এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার তরুণ চৌধুরীকে নির্দেশ দেন যে আগামী এপ্রিল মাসের আগে বাকি কাজটি সম্পন্ন করার জন্য। তিনি বলেন, তিনি নিজে এসে এই স্কুলটি সহ বক্সনগরের নির্মীয়মান তিনটি স্কুল এপ্রিল মাসের ১ তারিখ উদ্বোধন করে যাবেন। বক্সনগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে তিনি সোজা চলে যান ভেলুয়ারচর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে। সেখানে গিয়ে তিনি দুইটি ক্লাস পরিদর্শন করেন। দশম শ্রেণী ও দ্বাদশ শ্রেণীর দুইটি ক্লাসের তিনি নিজেই ক্লাস করেন। দশম শ্রেণির ক্লাসে গিয়ে তিনি ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে কয়েকটি প্রশ্নও করে থাকেন। তিনি প্রশ্ন করেন ত্রিপুরা রাজ্যের আয়তন কত? ত্রিপুরা কবে ভারতের সাথে যুক্ত হয়? পৃথিবীর আয়তন কত?
জানা যায় সাম্প্রতিক ২০১২ সালে তৎকালীন সরকার বক্সনগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়টির বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তিন বছর পর ২০১৫ সালে প্রাক্তনমন্ত্রী শহীদ চৌধুরী ঢাক-ঢোল বাজিয়ে বিদ্যালয়টির শিলান্যাস করেন। এই কাজের বরাদ্দ ছিল ৫ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা। এই কাজের দায়িত্ব ছিলেন পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার তরুণ চৌধুরী। এ কাজটি পায় দেবাশীষ দাস নামে আগরতলার এক ঠিকাদার। পরবর্তী সময়ে কাজটির দায়িত্ব নেন আগরতলার ঠিকাদার বিশ্বজিৎ রায়। বিশ্বজিৎ রায় তাঁর বরাদ্দ টাকা দিয়ে কাজ করতে গিয়ে টাকার জন্য বাকি কাজ করতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই সঠিক সময়ে কাজটি সম্পূর্ণ করতে পারেননি ঠিকাদার।
এদিন শিক্ষামন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন ত্রিপুরা ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলাম মজুমদার, সিপাহীজলা জেলার দক্ষিণাংশের বিজেপি সভাপতি দেবব্রত ভট্টাচার্য, সিপাহী জলা জেলা শিক্ষা আধিকারিক হাবুল লোধ, সোনামুড়া স্কুল ইনস্পেক্টর, বক্সনগর ব্লকের বিডিও, বক্সনগর ব্লক চেয়ারম্যান সঞ্জয় সরকার সহ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর জবাব দিতে গিয়ে বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের স্কুল গুলি এখনো পুরোপুরিভাবে খোলা হয়নি। কিন্তু রাজ্য সরকার খুব ঝুঁকি নিয়ে স্কুল গুলি খুলেন ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। তিনি আরো জানান, আর মাত্র তিন মাস বাকি পরীক্ষা। এরই মধ্যেই সিলেবাস শেষ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বক্সনগর সফরে এসে স্কুল পরিদর্শন করে তার অত্যন্ত ভালো লাগে। তিনি আশা করেন বক্সনগর থেকে আগরতলা ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে প্রতিযোগিতা করে ভালো রেজাল্ট দেখাতে পারবেন।