আপডেট প্রতিনিধি, বক্সনগর, ০৫ মার্চ || তিন দিন পর রাজ্যের এক যুবকের মৃতদেহ চেন্নাই থেকে নিয়ে আসা হয় সোনামুড়া মহকুমার নিজ বাড়িতে। জানা যায়, গত বুধবার চেন্নাইয়ে সোনামুড়ার এক যুবকের ফাঁসি দেওয়া অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়। জানা যায়, সোনামুড়া থানাধীন ময়নামা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মানিক মিয়ার বড় ছেলে মিজান হোসেন চেন্নাই এর একটি কম্পানি তিরুমন্নাইয়ে কর্মরত অবস্থায় ছিল। সেখানে বিশালগড় করিয়ামুড়া এলাকার আবুল কালামের মেয়ে নাছিমা আক্তার নামের একটি মেয়েও কর্মরত ছিলো। সেখানেই তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিছুদিন থেকে কোনো এক কারণে দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। জানা যায়, দুই জনেই কাছাকাছি একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতো। কিন্তু বুধবার মিজানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ঐ বাড়িতে। অন্যান্য ছেলেরা যখন সকালে মিজানের ভাড়া বাড়িতে যায় তখন ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাড়িতে খবর দেয়। এই দিকে পরিবারের দাবি মিজানকে খুন করা হয়েছে।
তিন দিন পর শুক্রবার তার মৃতদেহ সোনামুড়া ময়নামা এলাকার নিজ বাড়িতে আনা হয়। কিন্তু চেন্নাইয়ের স্থানীয় হাসপাতালে থেকে তার মৃত্যুর কারণ জানায় নি বলে অভিযোগ করে পরিবারের তরফে। এদিকে মিজানকে বাড়িতে আনার পর তাঁর মৃতদেহ দেখতে গ্রামের মানুষ জড়ো হয় মিজানের বাড়িতে।এ নিয়ে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।