সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ১৯ জুলাই || গত ২০শে জুন কল্যাণপুর থানাধীন উত্তর মহারানীপুর এলাকায় গরু চোর সন্দেহে সোনামুড়ার মুসলমান সম্প্রদায়ের একদল যুবকের উপর নৃশংসভাবে আক্রমণ সংগঠিত করা হয়েছিল। এই আক্রমণে প্রথমে তিন জন নিহত হয় এবং পরবর্তীতে এক জনের মাটি চাপা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ একে একে ছয় জনকে জালে তুলতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় আটককৃত অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তি মূলে ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়ায় পুলিশ অনেকদূর এগিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে। এমনকি যে সেলিম মিয়ার মৃতদেহ সর্বশেষে উদ্ধার করা হয়েছিল তাও আটককৃত অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই।
কিন্তু এবার এই আটককৃতদের নির্দোষ দাবি করে সদলবলে গ্রামবাসীরা মিলে থানা ঘেরাও করলেন। এই ঘটনার খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ছুটে আসেন তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনা চরণ জমাতিয়া সহ বিশাল টিএসআর বাহিনী। আন্দোলনকারীরা দাবি করলেন যাদের আটক করা হয়েছে তারা নিরপরাধ, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। তৎসঙ্গে তারা আরো দাবি করেন যে, এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত নয় তাদেরকে অযথা পুলিশ গিয়ে হেনস্তা করছে তদন্তর নাম করে এই হেনস্থা শিকার হচ্ছে নিরপরাধ সাধারণ জনগণ এই হেনস্তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং তাদের মুক্তি না দিলে আগামী দিনে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হল গ্রামবাসীদের তরফে। যদিও গ্রামবাসীদের অভিযানকে পুলিশ প্রশাসন যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার সাথে মোকাবেলা করেছে এবং আগামী দিনগুলিতে নিরপরাধ ব্যক্তিরা কোন হেনস্তার শিকার হবে না বলে আশ্বাস দিলে অবরোধ মুক্ত করে স্থানীয় লোকজনেরা। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে।