সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ০৩ অক্টোবর || না, এটা সাগর বা সমুদ্র নয়! এটা তেলিয়ামুড়া শহরের একটি রাস্তা। শনিবার নিজের ক্ষোভ উগলে দিয়ে এই কথাগুলি বললেন তেলিয়ামুড়া শহরের এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি আরও বলেন, এখন সাগর দেখতে বহিঃরাজ্যে যেতে হয় না। আমাদের রাজ্যে এমন অসংখ্য সাগর-সমুদ্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। গ্রাম-পাহাড়ের সাথে সাথে পুর এলাকার রাস্তাগুলির অবস্থাও খুব করুণ। বর্তমানে সবচেয়ে করুণ অবস্থা তেলিয়ামুড়া মার্চ্চেন্ট এসোসিয়েসনের অফিসের রাস্তাটি। এই রাস্তাটিতে তৈরি হয়েছে ছোট ছোট গর্ত। কোথাও কোথাও রয়েছে বেশ বড় গর্তও। ফলে সারা মাস ব্যাপী জমে রয়েছে জল। আর অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তটি পরিণত হয় সাগরে, এমনটাই অভিযোগ। সামনেই রয়েছে কবি নজরুল বিদ্যাভবন। এতে প্রায় হাজার খানেক ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। ভগ্ন রাস্তা মাড়িয়ে স্কুলে যেতে ছাত্রছাত্রীরা প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। এছাড়া রাস্তার খানাখন্দের কারণে সাধারণ মানুষ থেকে যানচালক সবাইকেই চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। বর্তমানে রাস্তাটি মরণদশায় পরিণত হলেও সারাই এর কোন উদ্যোগ নেই। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার এই রাস্তটি একেবারে তেলিয়ামুড়া মার্চ্চেন্ট এসোসিয়েসনের দরজার সামনে। অথচ মার্চ্চেন্ট এসোসিয়েসনও নীরব। কিন্তু কেন? প্রশ্ন তেলিয়ামুড়া বাজারের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের।