বিশ্বশ্বর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ০২ এপ্রিল || রাজ্য সরকারের নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনে ব্যর্থ হয়ে পরছে শান্তিরবাজার থানার পুলিশ। মহকুমার পুলিশ আধিকারিককে নেশাকারবারীদের সমস্ত বিবরণ জানানোর পরেও নেশাবিরোধী অভিযানে তিনি অনিহা প্রকাশ করেন বলে অভিযোগ স্থানীয় লোকজনদের। অবশেষে পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে রাজ্য সরকারের উদ্দ্যোশ্যকে সাফল্যমন্ডীত করতে রাজাপুর এডিসি ভিলেজের লোকজনেরা নেশাবিরোধী অভিযানে নামেন। এলাকার স্থানীয় লোকজনেরা একজোট হয়ে নেশাবিরোধী অভিযানে একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটির নামাকরন করা হয় মহিলা একসান কমিটি। এই কমিটি গঠন করার কিছু সময়ের মধ্যে সকলের একান্ত প্রচেষ্টায় বেশকিছু নেশাবিরোধী অভিযানে সাফল্য অর্জন করে স্থানীয় লোকজনেরা।
এরইমধ্যে বুধবার বীরচন্দ্র নগর এলাকায় অটোচালক রাজু দেবনাথের বাড়ীতে নেশাবিরোধী অভিযান চালায় স্থানীয় লোকজনেরা। এই অভিযানে প্রচুর পরিমানে নেশাসামগ্রী উদ্ধার করা হয়। নেশা সেবনকারীদের আটক করে তদন্তক্রমে একের পর এক নেশাকারবারীদের কাছ থেকে নেশা সামগ্রী উদ্ধার করছে স্থানীয় লোকজনেরা। এই সকল বিষয়ে শান্তিরবাজার থানার পুলিশ ও মহকুমার পুলিশ আধিকারিক বাপি দেবর্বমাকে জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ঘটনার সাথে জরিতদের আটক করতে অক্ষম পুলিশ। পুলিশের এই ধরনের কার্যকলাপে দিনির পর দিন পুলিশের উপর আস্থা হারাচ্ছে স্থানীয় লোকজনেরা। সকলে চাইছে মহকুমার পুলিশ আধিকারিক বাপি দেবর্বমার পরিবর্তে অন্য একজন সৎ পুলিশ আধিকারিককে শান্তিরবাজারে নিয়ে আসা হোক। যাতে করে রাজ্য সরকারের উদ্দ্যোশ্যকে সাফল্যমন্ডীত করে নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠন করা যায়। এখন দেখার বিষয় রাজ্য সরকার ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এই বিষয়ে কি প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করে।