আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ০৪ এপ্রিল || বর্তমান রাজ্য সরকার আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শুক্রবার পশ্চিম ত্রিপুরার মহোনপুর মহকুমার সীমনায় অনুষ্ঠিত ব্রহ্মকুন্ড মেলার উদ্বোধন করে একথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ব্রহ্মকুন্ড মেলার সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ১৪ কোটি টাকা মন্জুর করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এখানে এসে আমি জানতে পারলাম কীভাবে ব্রহ্মকুন্ড মেলার সূচনা হয়েছিল। প্রতিবছর দু’বার এই মেলা অনুষ্ঠিত হয় এবং মানুষ তাদের পূর্বপুরুষদের স্মরণে ধর্মীয় রীতি পালন করেন। একসময় বাংলাদেশ থেকেও বহু মানুষ এই মেলায় অংশ নিতে আসতেন, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কারণে তাদের আসা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এই মেলা শুধুমাত্র এক উৎসব নয়, এটি আমাদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন। আমরা ‘এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা’-র লক্ষ্যে কাজ করছি, যা এই মেলার মধ্যেও প্রতিফলিত হচ্ছে। এই মেলায় নারীদের উপস্থিতি পুরুষদের তুলনায় বেশি, যা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। তিনি বলেন, “আমাদের সরকার রাজ্যের ১৯টি আদিবাসী সম্প্রদায়ের অনন্য সংস্কৃতি সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে, যাতে এই ঐতিহ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছেও পৌঁছায়।”
তিনি আরও বলেন, “এই মেলা তিন দিন ধরে চলবে এবং এটি শুধু বিনোদনের ক্ষেত্র নয়, এখান থেকে অনেক কিছু শেখারও সুযোগ রয়েছে। সরকার এই ধরনের ঐতিহ্যবাহী মেলা ও অনুষ্ঠানকে উৎসাহিত করছে, যাতে মানুষ রাজ্যের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও জানতে পারে। যখন আমরা ত্রিপুরার বাইরে যাই, তখন আমাদের সংস্কৃতি নিয়ে গর্ব হয়। এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পরিকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে আরও বেশি মানুষ এখানে আসবে, বিনিয়োগ করবে এবং সামগ্রিক উন্নয়ন হবে। আমাদের সরকার জনগণের সরকার, যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আমরাও সেই পথেই কাজ করছি।”
এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ব্রিশকেতু দেববর্মা, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সমীর রঞ্জন ঘোষ, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসক ড. বিশাল কুমার, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের পরিচালক বিম্বিসার ভট্টাচার্যসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।