মাত্র ৪৮ ঘন্টায় খোয়াইয়ে তৃতীয় চুরি, এবার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি! প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

গোপাল সিং, খোয়াই, ২৪ এপ্রিল || খোয়াই পুলিশ প্রশাসনকে ফের একবার প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল চোরের দল। মাত্র ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে তৃতীয় চুরির ঘটনা, এবার খোয়াই থানাধীন লালছড়া এলাকার ৮নং ওয়ার্ডে, অপু রায়ের বাড়িতে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে নির্জনতার সুযোগে চোরেরা ঘরে হানা দিয়ে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ নিয়ে চম্পট দেয়। পরিবারে কান্নার রোল, আতঙ্কে গোটা পাড়া। গৃহকর্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পড়শীরাও ব্যথিত, ক্ষুব্ধ। অথচ যে ঘরে চুরি হয়েছে সেই ঘরের বারান্দায় একজন মহিলা বসেছিলেন। কিন্তু তিনি কোনো শব্দই শোনতে পাননি। ঘরের জিনিসপত্র, আসবাব তছনছ করা হয়, অথচ কোনো শব্দ হয়নি। কতটা কায়দা করে চোরের দল আজকাল চুরিকান্ড সংগঠিত করছে! তা বলতে বলতে মহিলাও কান্না শুরু করেন।
উল্লেখ্য, এই একই ওয়ার্ডেই মাত্র দুই দিন আগে খোয়াই পৌরসভার এক কাউন্সিলারের বাড়িতে চুরি হয়। পরের দিন অর্থাৎ বুধবার বিপিসি পাড়াতে জনৈক এক শিক্ষক দম্পতির বাড়িতেও চুরি ঘটে। আর আজ বৃহস্পতিবার সাধারণ এক খেটে খাওয়া মানুষের বাড়ি—এই ধারাবাহিকতা খোয়াইয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর প্রশ্নের ঝড় তুলেছে।
খোয়াইবাসীর মনে প্রশ্ন: “ঘর ফাঁকা করলেই কি সর্বস্ব লুট হয়ে যাবে? প্রশাসন কি শুধু তালিকা তৈরি করেই ক্ষান্ত?”
অনেকেই বলছেন, পুলিশ আজ ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’, কার্যত চুপচাপ দর্শক। ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ আবার পুরনো দিনগুলোর মতো নিজস্ব প্রহরা শুরু করার কথা ভাবছেন।
স্থানীয় এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, “চোরেরা এখন প্রশাসনকে উপহাস করছে। ঘন ঘন চুরি হলে মানুষের নিজের ঘরেও নিরাপত্তা নেই। আমরা কি আবার রাস্তায় নামবো পাহারার জন্য?” খোয়াই শহরে একের পর এক চুরির ঘটনায় জনগণের মধ্যে যে ক্ষোভ, হতাশা ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে, তার দায় কে নেবে? প্রশাসন কি এবার জবাব দেবে?

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*