সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ২৭ এপ্রিল || “ননদ আর শ্বশুর মিলে আমার মেয়ে’কে মেরে ফেলেছে”; “অন্য মহিলার সঙ্গে তন্ময়ের পরকীয়ার কোন না কোন সম্পর্ক আছে, আর সে কারণেই আমার মেয়ে’কে মেরে ফেলেছে” তাছাড়া আমার মেয়ে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ১৫-২০ মিনিট আগে আমাকে ফোন করে জানিয়েছিল শশুর এবং স্বামী মিলে তাকে পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা করছে” – তেলিয়ামুড়া থানার সম্মুখে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর মায়ের।
খবরে প্রকাশ, শনিবার সন্ধ্যা রাতে তেলিয়ামুড়া থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে অবস্থিত শান্তিনগর এলাকায় ২৩ বছরের এক গৃহবধূর রহস্যজনকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এর মধ্যে মৃতার মায়ের করা বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্যে ঘটনা আরো জটিল হলো। এই রহস্য মৃত্যুর পর স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছিল, এটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত খুন?
উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় তেলিয়ামুড়া অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা ২৩ বছর বয়সী এক অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূকে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের জরুরী কালীন বিভাগে নিয়ে আসে। সেখানে নিয়ে আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক দেখতে পায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। এলাকা সূত্রে খবর, আজ থেকে প্রায় এক থেকে দেড় বছর পূর্বে পশ্চিম জেলার এই গৃহবধুর সাথে সামাজিকভাবে বিবাহ হয় তেলিয়ামুড়া মহকুমার শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা তপন পালের ছেলে তন্ময় পালের। বিয়ের পর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও, এলাকা সূত্রে খবর বিগত কয়েক মাস ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হয়তো ঝামেলা চলছিল। আর হয়তো এই ঝামেলার জেরেই গৃহবধুর অগ্নিদগ্ধ হওয়ার এই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে, কিভাবে গৃহবধূ অগ্নিদগ্ধ হয়েছে সেই বিষয়ে কিছুই স্পষ্ট ভাবে এখনো জানাতে পারেনি কেউই। এলাকা সূত্রে আরো খবর, হয়তো গৃহবধূকে আত্মহত্যা করার জন্য বাধ্য করা হয়েছে, নয়তো অগ্নিদগ্ধ করে গৃহবধূকে প্রাণে মেরে ফেলা হয়েছে। তবে যাই হোক, গোটা ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে সঠিক পুলিশি তদন্তের মধ্য দিয়েই।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, হাসপাতালে গৃহবধুর মৃতদেহ নিয়ে আসার পর স্বামী ছাড়া পরিবারের আর কাউকেই হাসপাতালে দেখা যায়নি। এতে আরো গৃহবধুর মৃত্যুর রহস্য জোরালো হচ্ছে।