আপডেট প্রতিনিধি, গুয়াহাটি, ১৬ জুলাই || প্রাণঘাতী ইকটপিক প্রেগন্যান্সিতে আক্রান্ত ২৫ বছরের এক তরুণীকে সঙ্কটজনক অবস্থায় পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সাফল্যের সঙ্গে তাঁর জীবন রক্ষা করা হয়। প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ ও রক্তে হিমোগ্লোবিন মাত্র ২.৫ gm% নেমে যাওয়ায় ওই রোগীকে দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে হয়।
ডাঃ সৌমিত্র কুমারের নেতৃত্বে একটি অভিজ্ঞ চিকিৎসক দলের তৎপরতায় জরুরি অস্ত্রোপচার করে রোগীর পেটের ভেতর জমে থাকা প্রায় এক লিটার রক্ত বের করা হয়। ধরা পড়ে ডানদিকের ফ্যালোপিয়ান টিউব ফেটে গিয়েছে। সফল সার্জারির পর রোগীকে আইটিইউ-তে রাখা হয়, দেওয়া হয় রক্ত ও প্লাজমা। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান রোগী।
চিকিৎসকরা জানান, ওই তরুণী গোপনে গর্ভপাতের ওষুধ সেবন করেছিলেন। চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের ওষুধের ব্যবহার একমাত্র প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের পরামর্শেই করা উচিত। ডাঃ কুমার বলেন, “এটি ছিল অত্যন্ত জটিল একটি কেস। সময়মতো চিকিৎসা, অভিজ্ঞ টিমের প্রচেষ্টা এবং রোগীর মানসিক দৃঢ়তা তাঁকে জীবনদান করেছে।”
পিয়ারলেস হাসপাতাল জানায়, এই ঘটনা চিকিৎসা ক্ষেত্রে তাদের অঙ্গীকার এবং দক্ষতার প্রমাণ দেয়। পূর্ব ভারতের বিশ্বস্ত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারা তাদের সুনাম আরও একবার প্রমাণ করল।
