সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ০৪ নভেম্বর || রাজ্যপাল ইন্দ্র সেনা রেড্ডি নাল্লুর রইস্যাবাড়ি সফর শেষ হওয়ার পরই ফের প্রকাশ্যে এল সীমান্তবর্তী এলাকায় গরু পাচারের চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সোমবার সন্ধ্যায় ত্রিপুরা–বাংলাদেশ সীমান্তের করিনা বর্ডার আউট পোস্ট (বিওপি) সংলগ্ন এলাকায় বিএসএফের তৎপরতায় উদ্ধার হয়েছে পাচারের পথে থাকা প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের ৩৫টি গরু। তবে পাচারকারীরা অধরাই রয়ে গিয়েছে, যা রইস্যাবাড়ি থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় মহলে।
সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যা প্রায় সাতটার সময় বিএসএফের ১৫৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় কিছু সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে তাঁরা তৎক্ষণাৎ অভিযান চালান। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে একদল পাচারকারী গরুগুলিকে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছিল বলে জানা যায়। সাহসিকতার সঙ্গে অভিযান চালিয়ে বিএসএফ জওয়ানরা ৩৫টি গরু উদ্ধার করতে সক্ষম হন। উদ্ধার হওয়া গবাদি পশুগুলির আনুমানিক বাজারমূল্য পাঁচ লক্ষ টাকারও বেশি।
বিএসএফের পক্ষ থেকে উদ্ধার হওয়া গরুগুলিকে রইস্যাবাড়ি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যদিও একটি সফল অভিযানের পরও পাচারকারীদের ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের তৎপরতা নিয়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সীমান্ত এলাকায় পুলিশের টহলদারি এবং নজরদারির অভাবের সুযোগ নিচ্ছে পাচার চক্রগুলি।
ঘটনাটি রাজ্যপালের সফরের পরপরই ঘটায় বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলছেন, সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা কার্যকর? বিএসএফ যেমন দায়িত্ব পালন করেছে, তেমনি পুলিশ প্রশাসনেরও এই পাচার রোধে সক্রিয় হওয়া জরুরি বলেই মত সাধারণ মানুষের।
পাচারচক্রের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
