দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ১১ ডিসেম্বর ।। মানুষ হিসেব কষছেন ৪৯-র, পরিষদ, ত্রি-স্তরের ভোটের গুঞ্জন চলছে শহর ছাড়িয়ে – তবে সদ্য সমাপ্ত ভোট পর্বে যাদের তর্জনীতে কালি লাগেনি তাদেরও সংক্রামিত হয়ে পড়েছেন একটা বিষয়ে – বিদগ্ধ পাঠক নিশ্চয়ই ঠাহর করতে পারছেন কোন বিষয়? একেবারেই ঠিক বলা হচ্ছে সঙ্গে হাওয়া ভোটের ফলের কথা। সাবেকি কিংবা বনেদীয়ানার প্রশ্নে আগরতলা পুর নিগম ভোটের সঙ্গে শিক্ষিত, বুদ্ধিজীবি, রাজনৈতিক সচেতনতার প্রশ্নে স্বাভাবিক ভাবেই যুক্ত রয়েছে। আগরতলা পুর নিগমের ভোটের ফলাফলের সঙ্গে গোটা রাজ্যের গনমানসের অন্তরালের যোগাযোগ রয়েছে কারন নিগমের ফল নিয়ে সুদূর গ্রাম গ্রামান্তরেও বিশ্লেষন, তাত্ত্বিক আলোচনায় উঠে আসবে রাজ্যের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি। আগরতলা পুর নিগমের নির্বাচনে বামফ্রন্ট নাগরিক পরিষেবা আর উন্নয়নকে সামনে রেখেই মূলত প্রচারাভিযান চালিয়েছে অন্যদিকে বিখন্ডিত বিরোধী শক্তি যুক্তিতর্কে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে জনমত স্বপক্ষে টানতে মরিয়া প্রয়াস চালিয়েছে। সদ্য সমাপ্ত ভোটের সঙ্গে ক্ষমতার সিংহাসনের যোগাযোগ না থাকলেও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের আগামীর আভাষ পরিস্ফুট হতে যাচ্ছে বলাই বাহুল্য। আগরতলা পুর নিগমের ৪৯-র ভোটের ফলাফলে দলগত অবস্থানে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থানের দখলের পরিসংখ্যানে প্রমানিত হবে সার্বিকভাবে এই রাজ্যের মানুষের রাজনীতির বিশ্লেষনের তরতাজা প্রতিচ্ছবি। ফলাফল যাই হোক এই ফলাফলের সঙ্গে দেশের পরিস্থিতি, জীবনের অবস্থান থেকেই মানুষের সিদ্ধান্তের বহিঃপ্রকাশ হবে দ্বিধাহীন ভাবেই বলা যায়।