গোপাল সিং, খোয়াই, ২০ আগষ্ট ।। ১৫ই আগষ্ট স্বাধীনতা দিবসে বিকেল পাঁচটায় জাতীয় পতাকা নামানোর রীতি থাকলেও সেদিন খোয়া্ইয়ের ধলাবিল এলাকায় স্থানীয় একটি ক্লাব জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ঠিকই কিন্তু বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে আসলেও জাতীয় পতাকা নামায়নি। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ এলাকারই এক বিজেপি কর্মী এই বিষয়টি দেখতে পায় এবং মোবাইলে পতাকার ছবি নিতে গেলে ঐ বিজেপি কর্র্মীকে মারধর করা হয়। উক্ত ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের গ্র্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিজেপি। বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতি সুবল ভৌমিকের নেতৃত্বে খোয়াই থানাধীন ধলাবিল চৌমূহনীতে খোয়াই-রাধানগর সড়ক অবরোধে বসে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এই পথ অবরোধের ফলে ব্যস্ততম রাস্তার দুপ্রান্তেই অনেক যানবাহন আটকে পড়ে। খোয়াই থেকে আগরতলার উদ্দেশ্যে রওয়না হওয়া যানবাহনগুলি আটকে পড়ে এবং আগরতলা থেকে খোয়াইমুখী যানবাহনগুলি রামচন্দ্রঘাট ভায়া চেবরী দিয়ে খোয়াই এসে পৌছায়। যদিও কুড়ি মিনিটের মতো এই রাস্তা রোকো আন্দোলনকে একটি গটআপ গেইম বলে মনে করছেন জনসাধারন। হাতেগুনা কয়েকজন বিজেপি কর্মীদের নিয়ে মাত্র কুড়ি মিনিটের আন্দোলন এবং রাস্তা রোকো আন্দোলনের শুরুতেই এসডিপিও সাহেবের সাথে কানে-কানে ফিসফাস গোপন আলোচনা এই প্রশ্নের উদ্ভব করছে। কুড়ি মিনিটের মধ্যেই রাস্তা আবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচী প্রত্যাহারের পর এসডিপিও সাহেব ঘোষনা করেন, ‘দেখলেন কত দ্রুত আন্দোলনকে প্রত্যাহার করিয়ে নিলাম!!!’ তবে ভুললে চলবে না, সব কিছুর সাক্ষী কিন্তু হলেন জনসাধারনই। স্বভাবতই জনমনে প্রশ্ন উঠে তাহলে কি এটা গটআপ গেইম নাকি দলীয় কর্মীদের বোকা বানানো !!! এদিকে আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতি সুবল ভৌমিক মিডিয়ার সামনে ১৫ই আগষ্টের ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি মিডিয়াকে জানান যে, প্রচন্ড মারধরের ফলে রমেন সাউতাল (২১) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার আঘাত গুরুতর। ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হবার পরও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি খোয়াইয়ের পুলিশ। অথচ নাম-ধাম দিয়ে খোয়াই থানায় মামলা রুজু করা হয়েছিল। তার পরেও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার কেন করেনি এই প্রশ্নের উত্তর জানতেই শনিবার সকাল আটটা থেকে খোয়াই ধলাবিল চৌমুহনীতে বিজেপি দলের পক্ষে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও সড়ক অবরোধ করা হয় বলে জানালেন সুবল বাবু। দাবি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা। দীর্ঘক্ষন পথ অবরোধ চলার পর স্বদলবলে ঘটনাস্থলে পৌছান খোয়াইয়ের এসডিপিও সাহেব। তিনি সুবল ভৌমিক ও অন্যান্য অবরোধকারীদের সাথে আলোচনা শুরু করেন। শেষে দীর্ঘক্ষন আলোচনা চলার পর অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেয় বিজেপি। বিজেপি দলের দাবি অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে নয়তো বিজেপি দলের পক্ষে পরবর্তী সময়ে আরো বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
