গোপাল সিং, খোয়াই, ২৭ আগষ্ট ।। ২৩শে’র দাবানল ডিঙ্গিয়ে যতই এগিয়েছে সময়, গুঁজবের করাল গ্রাসে অনেকটাই যেন নিষ্প্রভ দেখাচ্ছিল রাজ্যের আকাশ-বাতাস। এক মুহুর্তের প্ররোচনার ফাঁদ ক্রমশ: নিজের দিকে ডাকছিল। কিন্তু মেঘলা আকাশ কখনো চিরস্থায়ী হয়না। মেঘ চিরে সূর্য্য উঁকি দিয়েছিল কবেই, কিন্তু গুঁজবের সুরসুরিতে অনেকেই বেসামাল হয়ে পড়ছিলেন। সিমনা-তমাকরি উপ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা হতেই সমস্ত গুঁজব, প্ররোচনার ফাঁদ এবং বহিরাগত শত্রুর মাষ্টার প্ল্যানকে নস্যাৎ করে পুনরায় আত্মবিশ্বাস ফিরে পেল রাজ্যের জাতি-উপজাতির মধ্যেকার চিরস্থায়ী মৈত্রী, সৌভ্রাতৃত্ববোধ। যার জ্বলজ্যান্ত প্রমান মিলল খোয়াইয়ের জন্মাষ্টমী উৎসব ও মেলায় জাতি-উপজাতির চিরাচরিত সম্মিলিত উপস্থিতি এবং স্বক্রিয় অংশগ্রহন। অন্তত এই খুদে শিশুরা সমস্ত নিন্দুক, চক্রান্তকারী এবং গুঁজব সৃষ্টিকারীদের মুখে ঝামা ঘষে দিল তা বলাই যায়। ধীরে ধীরে সারা রাজ্যেই শান্তি-সম্প্রীতি-সুস্থিতি বজায় রাখতে শান্তিকামী মানুষ স্বক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসছেন। শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষজন সুস্থিতি বজায় রাখতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। খোয়াই-রাধানগর সড়কেও যান চলাচল স্বাভাবিক হবার পথে। তবে যারা আস্থা হারিয়ে শহর ছেড়ে ছিলেন তারাও আজ সব বাধা অতিক্রম করে নিজ নিজ কর্মস্থলে মনোনিবেশ করছেন। কারন সবার একটাই চাহিদা গোটা রাজ্যে যেন শান্তি-সম্প্রীতি-সুস্থিতির হাওয়া চিরকাল এভাবেই বয়ে চলে। এক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে জাতি-উপজাতির মিলনায়তন এই মেলা, এই উৎসব সেতুবন্ধনের কাজটা ফের একবার করছে। আসছে শারদীয়া দূর্গোৎসব। ঢাকের বাদ্যির সাথে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে আজকের এই মেলার দৃশ্য বড় আকার ধারন করবে এই প্রত্যাশাই করছেন জনসাধারন। শিশুদের মুখের নিষ্পাপ হাসি নিয়েই প্রত্যাশা পূরনের হাতছানি এখন হাতের মুঠোয়।
