গোপাল সিং, খোয়াই, ১৮ জানুয়ারী ৷৷ খোয়াই শহরের পাশেই অজগরটিলা গ্রাম। ঐ গ্রামেরই একজন ব্যাক্তি যিনি আবার পেশায় শিক্ষক, নাম রঞ্জন নম:দাস। উনার ক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করে ৭টি হাঁসকে মেরে ফেললেন। হাঁসগুলি ছিল মহাদেব বিশ্বাস নামে এক ব্যাক্তির। জানা যায় বিষ পান করে ঘটনাস্থলেই মারা যায় হাঁসগুলি। এমনটাই অভিযোগ মহাদেব বিশ্বাসের। ঘটনার বিবরন দিতে গিয়ে এলাকাবাসী জানান, ক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করলে লিখিত আকারে নোটিশ এবং এলাকাবাসীকে অবগত করতে হয়। যা সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। কিন্তু অত্যন্ত অসাংবিধানিকভাবে সমস্ত নিয়ম-নীতিকে চুলোয় দিয়ে ঐ শিক্ষক তথা সমাজ গড়ার কারিগর কিভাবে ৭টি তরতাজা হাঁসকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিল? প্রশ্ন এলাকাবাসীর। এই নিরপরাধ হাঁসগুলি নির্মমভাবে মারার ঘটনাকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না মহাদেব বিশ্বাস। তাই উনাকে আইনী সহায়তা নিতে বলে এলাকাবাসী। তিনিও যথারীতি খোয়াই সুভাষপার্ক আউটপোষ্টে ঘটনাটি জানান। পরবর্তী সময় সুভাষপার্ক আউটপোষ্ট থেকে পুলিশ গিয়ে ঘটনার তদন্ত করে এবং মহাদেব বিশ্বাসের অভিযোগের সত্যতা পায়। কিন্তু হাঁসগুলির মর্মান্তিক পরিনতির জন্য দায়ী শিক্ষক রঞ্জন নম:দাস প্রভাবশালী হওয়াতে সুভাষপার্ক আউটপোষ্টে তিনি জানান যে আমরা মিমাংসা করে নেব। যেন কেইস না নেওয়া হয়। আউটপোষ্ট থেকে জানানো হয় লিখিতভাবে মিমাংসার কাগজ জমা দিতে হবে। কিন্তু রাত অবধি মিমাংসার কোন কাগজ সুভাষপার্ক আউটপোষ্টে জমা পরেনি। সে যাইহোক, একজন শিক্ষকের এই অমানবিক কাজের ফলে কিন্তু জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। সবার মনে একটাই প্রশ্ন, অবোঝ ৭টি হাঁসকে হত্যা করা হলো জেনেশুনে। অথচ আইনী সাজা বা গ্রাম্য বিচার কিছুই হলনা। চিত্রতারকা সলমন খান সহ বেশ কয়েকজন নামি তারকার বিরুদ্ধে হরিণের শাবককে গুলি করে করে মারার অপরাধে কোর্টে এখনও মামলা চলছে। বড় সাজাও হতে পারে। আর একই অপরাধে ৭টি অবোঝ হাঁস হত্যা করার পরও শিক্ষিত লোকটির কি কোন সাজা হবে না? এটাই এখন আপামর অজগরটিলা গ্রামের মানুষের প্রশ্ন।