গোপাল সিং, খোয়াই, ১৯ জানুয়ারী ৷৷ খোয়াই বিদ্যুৎ দপ্তরে ১৮/০১/২০১৭ইং তারিখে ভর্ত্তুকি মূল্যে জনগনের জন্য এল.ই.ডি. বাল্ব, টিউব সেট দেওয়ার জন্য আগরতলা থেকে আসেন। জনগনের অভিযোগ কোন প্রকার প্রচার ছাড়া এসে শহরের সুবিধাভোগী আংশিক জনগন লাইনে দাঁড়িয়ে এল.ই.ডি. বাল্ব, কেউ ১০টি-২০টি টিউব সেট সহ অন্যান্য সামগ্রী মজুত করে নিয়ে যায়। দ্রুত খবর পৌছে যায় গ্রামীন এলাকায়। গ্রামের শ্রমিক-কৃষক-মেহনতী মানুষরা টাকা জোগাড় করে ছুটে আসেন খোয়াই বিদ্যুৎ দপ্তরে। ততক্ষনে যা হবার তাই হয়। কিছু লোকের কাছে সব সামগ্রী চলে যা। গ্রামের মানুষকে বলা হয় আগামীকাল থেকে দেওয়া হবে। যথারীতি ১৯/০১/২০১৭ সকাল থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে গরীব মানুষ কেউ সাইকেলে কেউ অটোতে করে আসেন। কিন্তু বেলা ৩টা পর্যন্ত আগরতলা থেকে আসেনি কোন কর্মকর্তা। আবার দেখা যায় বেশ কিছু দোকানে সরকারী ভর্ত্তুকিতে দেওয়া বাল্ব যার প্যাকেটে লেখা রযেছে ‘নট ফর রিসেল’। তারপরও অবাধে বিক্রি হচ্ছে বাল্ব ও টিউব। অথচ প্রশাসন নির্বিকার। কোন প্রকার নিয়মনীতি না মেনে প্রথম থেকেই যাকে যত খুশী ভর্ত্তুকির বাল্ব সহ অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আসলে মজুত করাই লক্ষ্য। যদি নিয়ম নীতি মেনে ভর্ত্তুকির এল.ই.ডি. বাল্ব দেওয়া হতো তবেই সবাই ২-১ করে পেতেন। সরকারী এল.ই.ডি. বাল্বের মূল্য ৯ ওয়াট = ৭০ টাকা। তিন বছরের গ্যারান্টি। যার বাজার মূল্য প্রায় দ্বিগুন। সরকার ভর্ত্তুকিতে এল.ই.ডি. বাল্ব দেওয়ার পেছনে অনেক রকম পরিকল্পনা করেছিলেন যাতে বিদ্যুৎ এর লোড কম হয় এবং অতি অল্প দামে ঘরে ঘরে এলইডি বাল্ব পৌছে যায়। কিন্তু দূরদর্শিতার অভাবে ভর্ত্তুকির এলইডি বাল্ব সাধারন মানুষের হাতে পৌছেনি। তাই জনগনের অভিমত আগামী দিনে প্রচার এর মাধ্যমে যেন সরকারী ভর্ত্তুকিতে জিনিষপত্র জনগনকে এই সুবিধা প্রদান করার ব্যবস্থা করা হয়। নতুবা জনগনকে হয়রানী করার করার কোন মানে হয়না।