বন্যার কবলে রাজধানী সহ তিন জেলা, ক্ষতগ্রস্ত ১২৮৪টি পরিবার, খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির

Flood Flood.jpg1আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ আগষ্ট ৷৷ সকাল থেকে ক্রমাগত বৃষ্টিপাতের ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জলমগ্ন হয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে রাজস্ব দপ্তর থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, বন্যা পরিস্থিতির ফলে মোট ১২৮৪টি পরিবার ক্ষতগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে ১৩টি ত্রাণ শিবির খুলেছে। জেলা প্রশাসনগুলির পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ত্রাণ এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বন্যা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন এবং দ্রুত ত্রাণ সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। সমস্ত জেলাশাসকগণ প্রতিনিয়ত পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করছেন। বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে ত্রানের ব্যবস্থা করতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সদর মহকুমার বিভিন্ন ত্রাণ শিবির ঘুরে এসে রাজস্ব মন্ত্রী বাদল চৌধুরী মহাকরণে সাংবাদিকদের জানান, প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে পশ্চিম জেলাতেই সবচেয়ে বেশি জলপ্লাবন দেখা দেখা দিয়েছে। আগরতলা শহরের শ্রীলঙ্কাবস্তি, বলদাখাল, প্রতাপগড়, ঋষি কলোনী, কালিকাপুর, যোগেন্দ্রনগর, পান্ডবপুর, জলপ্লাবিত হয়। পশ্চিম জেলায় বন্যাদুর্গত মানুষের ত্রাণে ২৬টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে যার মধ্যে সদর মহকুমায় খোলা হয়েছে ১৭টি, জিরানিয়ায় ৬টি এবং মোহনপুরে ৩টি। পশ্চিম জেলার ২৬টি শিবিরে মোট ৯৪৬টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে সদরের ১৭টিতে আছে ৬৮১টি পরিবার, জিরানিয়ার ৬টিতে আছে ২৫২টি পরিবার এবং মোহনপুরের ৩টিতে আছে ১৩টি পরিবার।
পশ্চিম জেলাশাসকের তরফে ত্রাণ কাজে ব্যবহৃত নৌকা ছাড়াও অন্যান্য মহকুমা, গকুলনগরের সেন্ট্রাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকেও নৌকা নামানো হয়েছে। এন ডি আর এফ এবং সিভিল ডিফেন্সের স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছেন। রাজ্য ও জেলাস্তরের যোগাযোগ কেন্দ্রের টোল ফ্রি নম্বর যথাক্রমে ১০৭০ এবং ১০৭৭।
FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*