বিশ্বেশ্বর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ২৬ সেপ্টেম্বর ৷৷ গুজববিরোধী প্রচারে সরকারী দ্বায়িত্ব পালনকালে দুষ্কৃতিকারীদের হাতে নিহত তবলা শিল্পী সুকান্ত চক্রবর্তীর হত্যাকান্ডে পুলিশের এস ডি পি ও সব্যসাচী দেবনাথের তৎপরতায় সাব্রুম মহকুমা আদালতে মঙ্গলবার ৮৭ দিনের মাথায় চার্চশিট প্রদান করল। এই কেসের প্রথম তদন্তকারী অফিসার ছিলেন জহর দেববর্মা। ২৪ ঘন্টা পর জহর দেববর্মাকে সরিয়ে মনুবাজার থানার ওসি নকুল দের্ব্বমাকে এই কেসে আইও হিসেবে নিয়োগ করে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুন, ২০১৮ সাব্রুমের কলাছড়া বাজারে ছেলে ধরা ও কিডনী পাচার সংক্রান্ত গুজব বিরোধী অপ্রচারের বিরুদ্ধে মহকুমা প্রশাসনের পক্ষে মাইকিং করতে গিয়ে সুকান্ত চক্রবর্তীকে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করে দূঃস্কৃতিকারীরা। ভিডিও ফুটেজ চিহ্নিত করে এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে হত্যাকান্ডে যুক্ত থাকার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ত্রিপুরার ইতিহাসে ৪৫৫ পাতার চার্জসীট এবং ১১৩ পাতার কেইস ডিটেলস্ নজীর বিহীন ঘটনা। মনুবাজার থানা কেইস নম্বর ৪৭/২০১৮, তারিখ, ২৮/০৬/২০১৮ ধারা নম্বর ১৪৮/ ১৪৯/ ৩৪১/ ৩৩২/ ৩০৭/ ৩০২/ ৪৪৭/ ১০৯/ ১১৪ IPC. মামলা হাতে নিয়ে সাব্রুমের এস ডি পি ও সব্যসাচী দেবনাথের বিশেষ তৎপরতায় , এই কেসের আই.ও নকুল দের্ব্বমা এবং দক্ষিন জেলা ক্রাইম ব্রাঞ্চের পুলিশ অফিসার বাপ্পী দেববর্মাকে নিয়ে ভিডিও ফুটেজ চিহ্নিত করে ২৩ জনের মধ্যে ১৬জনকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত ১৬ জন যথাক্রমে ১) সুনীল ত্রিপুরা, ২) রবিধন ত্রিপুরা, ৩) বীরেন মোহন ত্রিপুরা, ৪) খোকন ত্রিপুরা, ৫) হীরেন ত্রিপুরা, ৬) শোভাধন চৌধুরী, ৭) শোভাধন ত্রিপুরা, ৮) পিনাল শীল, ৯) কৃষ্ণ দেবনাথ, ১০) আশিক দাস, ১১) বিশিরাম ত্রিপুরা, ১২) বিজয় ত্রিপুরা, ১৩) গঙ্গাচরণ ত্রিপুরা, ১৪) কৃষ্ণ ত্রিপুরা ,১৫) রতুকসা ত্রিপুরা, ১৬) দিগেন্ত ত্রিপুরা। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, আরও ৭ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করার জন্য তৎপর হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে তারপরেই সাপ্লিমেন্টারী চার্জসীট জমা দেবে । এর মধ্যে হাইকোট থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিন পায় আশীক দাস। বাকী হত্যাকারীরা জেলে দিন কাটাচ্ছে। মূল অভিযুক্ত সুনীল ত্রিপুরা যার কলকাঠীতে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে। সুকান্ত চক্রবর্তীর স্ত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী সহ পরিবারের অন্যান্যদের দাবী ছিল হত্যাকান্ডের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি র ব্যবস্থা করা।