দেবজিত চক্রবর্তী, আগরতলা, ১৫ ডিসেম্বর ।। বে-সরকারী অর্থ লগ্নিকারী সংস্থা সারদার সৌজন্যে পশ্চিমবাংলার মন্ত্রী মদন মিত্র জেলে যেতেই রনহুঙ্কারে তৃণমূল সুপ্রীমো মমতা ব্যানার্জী রীতিমতো রনং দেহি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। CBI কখন কাকে তলব করবে সে নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছে দেশজুড়ে, সেই ক্ষেত্রে ত্রিপুরায় প্রতারক অর্থ লগ্নিকারী সংস্থা গুলো সাধারন মানুষের কাছে মিথ্যে প্রলোভন দিয়ে বহু কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কেউ গা ঢাকা দিয়েছে, কেউ ঝাঁপ বন্ধ করে পালিয়েছে – জীবনের সর্বস্ব খুইয়ে অন্ধকারে মানুষ।
সোমবার, প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয়ে রাজ্য কংগ্রেস ত্রিপুরায় চিটফান্ড দৌলতে সর্বস্বান্ত মানুষদের স্বার্থরক্ষায় সরকারের ভূমিকায় তীব্র সমালোচনা করেছে। রীতিমতো দস্তাবেজ সাংবাদিকদের হাতে তুলে দিয়ে বিরোধীদলনেতা চিটফান্ড নিয়ে বিধানসভা থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমক কর্মসূচী, CBI তদন্তের দাবী নিয়ে সবর হয়েছেন।
সাংবাদিক সন্মেলনে বিরোধীদলনেতা সুদীপ রায়বর্মণ তীব্র ভাষায় বলেছেন, রাজ্যে বামফ্রন্টের আমলে এই রাজ্যে বে-সরকারী অর্থ লগ্নিকারী সংস্থা (চিটফান্ড)-র রমরমা ব্যবসা শুরু করেছে। সারদা এবং রোজভ্যালীকে আড়াল করছে রাজ্য সরকার, সেই কারনেই সারদা কান্ডের ইস্যুতে রাজ্যে তদন্তে আগ্রহী নয় CBI । তিনি আরও বলেন, বে-সরকারী অর্থ লগ্নিকারী সংস্থা সারদার মূল নায়ক সুদীপ্ত সেনের দেওয়া উপহার গ্রহন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, তাই সারদা কান্ডে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকেও CBI’র জেরা করার দাবী করেন তিনি। সাংবাদিক সন্মেলনে বিরোধীদলনেতা জানান, চিটফান্ড ইস্যুতে অতি শীঘ্রই কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হবে রাজ্য কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল।
সাংবাদিক সন্মেলনে বিরোধীদলনেতা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা, বীরজিৎ সিনহা।