আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ সেপ্টেম্বর ৷। সোমবার ছিল কংগ্রেসের ১৭টি সংগঠনের ডাকে ১২ ঘন্টার ত্রিপুরা বনধ। সাংবাদিক নিগ্রহ, বিরোধী দলের উপর আক্রমণ সহ মোট ১২ দফা দাবীতে এদিন কংগ্রেসের ডাকা বনধে সাড়া পাওয়া যায়। সকাল থেকেই রাজধানীতে যানবাহনের সংখ্যা ছিল নগন্য। দোকানপাট ছিল প্রায় বনধ। রাজ্য সরকারের তরফে বনধের বিরোধিতা করা হয়েছিল। তবুও কংগ্রেসের ডাকা বনধের কিছুটা সাড়া পাওয়া গেছে। বনধ সফল করতে সকাল থেকেই কংগ্রেস নেতা কর্মীরা শহরে পিকেটিং করতে দেখা গেছে। আবার বনধের বিরোধীতায় শহরে বিজেপি কর্মীদেরও দেখা গেছে র্যালি করতে।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে কংগ্রেস ভবন চত্বর সহ কিছু কিছু জায়গা উত্তপ্ত হয়ে উঠে। সকাল ১১টা নাগাদ বনধ সফল করতে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস ভবনের সামনে রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস কর্মীরা। এরপর শুরু হয় মিছিল। কংগ্রেসের মিছিলে বিজেপি কর্মীরা বাধা দিলে শুরু হয় দৌড়ঝাপ। ছোড়া হয় ইট পাটকেল। এতে আহত হয় পুলিশ কর্মী সহ ২ জন কংগ্রেস কর্মী।
এদিকে পিকেটিং করা সময় রাজধানীর উত্তর গেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কংগ্রেস নেতা কর্মীদের। এসময় এখানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা বীরজিৎ সিনহা, সুবল ভৌমিক, পুজন বিশ্বাস, ছাত্রনেতা সম্রাট রায় প্রমুখ।
বনধে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাওয়া এছে বলে দাবী কররেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযুষ কান্তি বিশ্বাস।