বিধানসভায় এক দিবসীয় বর্ষাকালীন অধিবেশন, রাজ্যে করোনার বর্তমান পরিস্থিতি স্পষ্ট করলেন মূখ্যমন্ত্রী

119941634_2834205456681111_7250389931903740881_oআপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ সেপ্টেম্বর ৷। করোনা পরিস্থিতিতে একদিনের জন্য বসল এক দিবসীয় বর্ষাকালীন বিধানসভা অধিবেশন। সম্প্রতিকালে ভারত চীন সীমান্তে নিহত শহিদ জওয়ান, নিহত জনপ্রতিনিধি ও করোনায় মৃতদের শোক জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে সোমবার সকালে শুরু হয় ত্রিপুরা বিধানসভা অধিবেশন।
অধিবেশন চলাকালীন জনস্বার্থে আলোচনার জন্য সময়সীমা বাডানোর দাবী জানিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিরোধী বেঞ্চ। এরপরই বিধানসভার অধ্যক্ষ রেবতী মোহন দাস বিজনেস এডভাইসারি কমিটির রিপোর্ট পাস করিয়ে নেন। তৎক্ষণাৎ বিধানসভার অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করে বিরোধীরা। সকল বিরোধী সদস্যরা বিধানসভা থেকে বেরিয়ে এসে মূল ফটকে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এদিন মূখ্যমন্ত্রী অধিবেশনে বলেন, কোভিড পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে করোনা আক্রান্তদের হোম আইসোলেশনে থাকার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে হোম আইসোলেশনে থাকা আর্থিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের ১৫০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি রোগীর পর্যবেক্ষণ করার জন্য মেডিক্যাল টিম রেজিস্টার অনুসরণ করছে। এইরূপ রোগীদের পালস অক্সিমিটার প্রদান করা হয়েছে ও সাধারণ মানুষকে তথ্য প্রদান করার জন্য জেলা ভিত্তিক কল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ পর্যবেক্ষক দল রাজ্য সরকারের প্রস্তুতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তাঁদের কিছু পরামর্শও রাজ্য সরকার গ্রহণ করেছে ও সেগুলি কার্যকর করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর ফলে অসুস্থ রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হতে অনীহা প্রকাশ করেছেন এবং এই কারণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু যতই ভুল ধারণা সৃষ্টি করা হোক না কেন, মানুষ তাঁদের চিকিৎসার জন্য জিবি হাসপাতালকেই বেছে নিয়েছেন। মৃদু লক্ষণযুক্ত রোগীরাও জিবি হাসপাতালকে বেছে নিয়েছেন। অতিরিক্ত চাপের ফলে হাসপাতালের সব ধরনের পরিষেবাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছিল। আমি সমস্ত কোভিড আক্রান্ত রোগী এবং তার পরিবার পরিজনদের অনুরোধ করছি, প্রথমে আপনার নিজের জেলার কোভিড কেয়ার সেন্টারে যাওয়ার জন্য। এর ফলে জিবি হাসপাতালে রোগীর চাপ কমবে। এটা দেখা গেছে যে, কোনও ধরনের অনুমতি না নিয়ে, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে এবং মাস্ক না পড়ে রাজনৈতিক সমাবেশ করা হয়েছে। যা কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
তিনি বলেন, মহামান্য উচ্চ আদালত রাজ্য সরকারের কাছে কিছু তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। রাজ্য সরকারের তরফে হলফনামা দিয়ে সমস্ত তথ্য আদালতকে জানানো হয়েছে। যাতে আদালত সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে এবং এর বাইরে মহামান্য উচ্চ আদালত যা যা জানতে চেয়েছে তার উত্তর যথাসময়ে রাজ্য সরকার জমা করে দেবে।

 

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*