গোপাল সিং, খোয়াই, ০৮ আগষ্ট || খোয়াই শহর আজ থমথমে পরিবেশ মুলত তৃণমূল কংগ্রেসকে কেন্দ্র করে। বিভিন্ন মহলের অভিমত তৃণমুল কংগ্রেসকে মেনডেইট দেওয়া হচ্ছে সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে। তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু নেতা শনিবার আমবাসা থেকে খোয়াই হয়ে আগরতলা যাচ্ছিলেন। রাস্তায় খোয়াই ধলাবিল এলাকায় কিছু দুষ্কৃতকারী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই হামলা চলাকালীন সময়ে এক টিএসআর কর্মী আহত হয়। বিজ্ঞ মহলের মতে রাতেই বা সকালে আইনি ব্যবস্থা সেরে উনাদের আগরতলায় পৌছে দিলেই পারতেন। তা না করে জলঘোলা করতে তাদের দুপুর পর্যন্ত যে নাটক মঞ্চস্থ হল তা নিয়ে খোয়াইতে আলোচনার ঝড় বইছে। পশ্চিম বঙ্গ থেকে আসতে হলো তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, নেত্রী দোলা সেন সহ একঝাঁক নেতা-নেতৃদের। পরবর্তী সময় যদিও জামিন পেয়ে যান মহামারী আইনে গ্রেপ্তার হওয়া ১৪ জন তৃণমূল কর্মীরা। এনিয়ে অনেক জলঘোলা হয় রবিবার। এরমধ্যেই অভিযোগ, বরিষ্ঠ নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়ী ভাঙচুর করা হয়। অপরদিকে থানার সামনেই একদল যুবক জমায়েত হয় কালো পতাকা নিয়ে। অভিষেক গো ব্যাক, তৃণমূল গো ব্যাক, স্লোগান উঠে। এনিয়ে উত্তপ্ত পরিবেশ খোয়াইয়ে। একের পর এক ঘটনার পেছনে কি রহস্য লুকায়িত?
কোভিড পরিস্থিতিতে দিন আনি দিন খাই মানুষের এমনিতেই সংসার কিভাবে চলবে তাতেই নাজেহাল, তারমধ্যে নির্বাচনের বহু দূর হলে পরেও এখনই যদি এমন অবস্থা হয় তবে আগামীদিন কি হবে? প্রশ্ন জনগণের। এই অস্থির পরিবেশ থেকে নিস্তার চাইছে ত্রিপুরাবাসী।
শনিবার রাত থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত কেন খোয়াই শহরকে উত্তপ্ত করা হলো? শহরে থমথমে ভাবে ক্ষতি কার হলো? সাধারন খেটে খাওয়া মানুষের অসুবিধা হলো। আর বিত্তশালীরা এটাকে অন্য চোখে দেখছেন বলে একাংশের অভিমত।