বিশ্বেশ্বর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ২৬ নভেম্বর || শান্তির বাজার গ্রামীন ব্যাঙ্কের বগাফা বাজার এলাকায় একটি শাখা অফিস রয়েছে। বিগত দিনে এই অফিসের মেনেজারের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠে আসলেও শুক্রবার দু’টি অভিযোগ উঠে আসলো। গ্রামীন ব্যাঙ্কের একজন গ্রাহক বৃক্ষরাম রিয়াং ও অপর গ্রাহক দৈনেশ্বরী রিয়াং এর একাউন্ট থেকে বিগত অনেকমাস যাবৎ টাক কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। বৃক্ষরাম রিয়াং পিটিজি দপ্তরে কর্মরত রয়েছে, অপরদিকে দৈনেশ্বরী রিয়াং বগাফা আশ্রম দ্বাদশ শ্রেনী বিদ্যালয়ের হোষ্টেলের রান্নার কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। এই দুই জনের মাসিক বেতন থেকে বগাফা গ্রামীন ব্যাঙ্কের শাখা অফিস থেকে টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠে আসলো। দীর্ঘ অনেক মাস যাবৎ টাকা কাটার পর উনারা অনেক খোঁজাখুজির পর জানতে পারে উনাদের লোনের গেরেন্টার বানানো হয়েছে। যাদের নামে লোন রয়েছে তাদেরকে উনারা চিনেন না এবং তারা তাদের লোনের কোনো প্রকার গেরান্টার ছিলেন না বলে জানান দুইজন গ্রাহক। ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী গেরেন্টার দেওয়ার জন্য যে সকল কাগজপত্র দেওয়া প্রয়োজন উনারা তাও জমাদেননি। অন্যের লোনের টাকা এই গ্রাহকদের কাছ থেকে কাটার জন্য উনারা এদিন শান্তির বাজার গ্রামীন ব্যাঙ্কে মেনেজারেরে নিকট দারস্ত হন।
অপরদিকে শান্তির বাজারের অপর একিট ব্যাঙ্ক পাঞ্জাব ন্যাশেনাল ব্যাঙ্কের (ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক) শান্তির বাজারের এক স্থায়ী কর্মীর ব্যবহারে মর্মাহত গ্রাহকরা এমনটাই অভিযোগ। এক কর্মী গ্রাহকদের সাহায্য করার জায়গায় নানান অজুহাত দেখিয়ে তারিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এতেকরে দূরদুরান্ত থেকে আগত গ্রাহকরা নিরাশ হয়ে ঘরে ফিরে যেতে হয়। এই কর্মী ব্যাঙ্কের কাজে নিযুক্ত হবার পর ব্যঙ্ককে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ। বাঁকাপথে যেসকল লোকজন কিছু অর্থরাশী প্রদান করে তাদেকে দ্রুততার সহিত পরিযেবা প্রদান কর হয় এমনটাই অভাযোগ উঠে আসছে গ্রাহকদের কাছ থেকে। এখন দেখার বিষয় পাঞ্চাব ন্যাশেনাল ব্যাঙ্কের উভয় শাখা গ্রামীন ব্যাঙ্ক ও ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের সঠিক পরিষেবা প্রদানে ও ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তে উচ্চপদস্ত আধিকারিকরা কি প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করে।