গোপাল সিং, খোয়াই, ০৪ সেপ্টেম্বর || ৫ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও শিক্ষাবিদ ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিন। এদিনটি সারা দেশেই শিক্ষক দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে বরাবরই। এ রাজ্যে এবার শিক্ষক দিবস উদযাপন কর্মসূচীর নামে শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছ থেকে অনৈতিক ভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠছে।
খোয়াই মহকুমার তুলাশিখর ও পদ্মবিল ব্লক এলাকার বিভিন্ন স্কুলগুলোর কাছ থেকে নাকি দুই ধরনের নির্দিষ্ট হারে শিক্ষক দিবসের নামে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকা অথবা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে নাকি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বিদ্যালয় পরিদর্শকেরা চাঁদার ফরমান পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এই ফরমান কৌশল করেই কাগজে কলমে কোন লিখিত ফরমান নয়। সবটাই মৌখিক। আবার মৌখিক ফরমানে স্কুলের স্তর অনুসারে চাঁদার অঙ্কও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। যেমন এস বি স্তর, অর্থাৎ উচ্চ বুনিয়াদি স্কুলগুলোকে বলা হয়েছে পাঁচশো টাকা করে চাঁদা দেওয়ার জন্য। আর মাধ্যমিক ও দ্বাদশ স্তরের স্কুলগুলোর ক্ষেত্রে শিক্ষক দিবসের চাঁদার হার হলো এক হাজার টাকা করে। তুলাশিখর ও পদ্মবিল ব্লকের আই এস কর্তৃক এই চাঁদা আদায় করার উত্থাপিত অভিযোগকে ঘিরে খোয়াই জুড়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসা। শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যেও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। যদি পাঁচশো টাকা ও এক হাজার টাকা করে চাঁদা তোলা হয় তাহলে তো দুই ব্লকের আই এস সার্কেল মিলিয়ে অন্ততঃ কমপক্ষে চার পাঁচ লক্ষ টাকার অধিক টাকার চাঁদা আসবে। এত টাকা শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে কোথায় কীভাবে খরচ হবে! উঠেছে প্রশ্ন। শিক্ষক দিবসের চাঁদা আদায় করার কোন সরকারী সার্কুলারই নেই।