বিশ্বেশর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ২৪ সেপ্টেম্বর || হাতেগুনা আর কিছুদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাঙ্গালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গোৎসব। এইবছর বন্যার প্রভাবে শান্তিরবাজারে ছোট আকারে পূজার মধ্যদিয়ে মায়ের আরাধনায় ব্রতী হতে চলছে সকলে। এই পূজার কয়েকদিন যাতে করে কোনোপ্রকার অপ্রতিকর ঘটনাছারা সুষ্ঠভাবে পূজা সম্পন্ন হয় তারই প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে শান্তিরবাজার আরক্ষা দপ্তর। শান্তিরবাজার আরক্ষা দপ্তরের উদ্দ্যোগে প্রতিনিয়ত সবকয়টি পূজা কমিটিকে বিভিন্ন বিধিনিষেধগুলি নিয়ে সচেতন করা হচ্ছে। এরইমধ্যে সোমবার দক্ষিন জেলার পুলিশসুপার অশোক কুমার সিনহার উপস্থিতিতে শান্তিরবাজার পূজা কমিটির সদস্যদের নিয়ে শান্তিরবাজার থানায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন এই আলোচনাসভায় দক্ষিন জেলার পুলিশ সুপারের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন শান্তিরবাজার মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সৌগত চাকমা, শান্তিরবাজার থানার ওসি সঞ্জীব লষ্কর, দক্ষিণ জেলা পরিষদের সদস্য নিতিশ দেবনাথ সহ আরক্ষা দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকরা। আলোচনাসভা শেষে এই আলোচনাসভার মূল আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের সামনে জানালেন দক্ষিন জেলার পুলিশ সুপার অশোক কুমার সিনহা। তিনি জানান, পূজায় কোনোপ্রকার চাঁদার জুলুমবাজী করা যাবেনা। পূজার দিনগুলিতে অধীক রাত্রে যখন লোকসমাগম থাকবে না সেই সময় পূজা কমিটি যেন সেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে মন্দির পাহারা দেয়। দশমীর দিন যাতে করে মায়ের মূর্তি বিষর্জন দেওয়া হয় তারই পরামর্শ দেওয়া হয়।
দক্ষিন জেলার পুলিশ সুপার জানান, পূজারদিনগুলিতে যাতে করে কোনোপ্রকার অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটে ও যাতেকরে পূজা শান্তিপূর্ন ভাবে সমাপ্তি হয় সর্বদা তারই প্রয়াস চালিয়ে যাবে আরক্ষা প্রসাশন।