বাজারে নাশকতামূলক আগুন, অল্পেতে রক্ষা পেল বাজার

সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ১৭ ডিসেম্বর || গভীর রাতে গন্ডাছড়া বাজারে নাশকতামূলক আগুন। অল্পেতে রক্ষা পেল গন্ডাছড়া বাজারের ব্যবসায়ীরা। ক্ষতি হতো প্রায় কোটি টাকার সম্পদ। যদিও খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌছায় স্থানীয় অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা। স্বস্তির নিশ্বাস ব্যবসায়ীদের।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গন্ডাছড়া মহকুমা সদর বাজারে প্রতিদিন রাতে বাজার পাহারার জন্য দায়িত্বে থাকেন বাজারের নিজস্ব বারোজন নৈশ প্রহরী। রবিবার রাতেও বাজার পাহাড়ায় নিযুক্ত ছিল ১২ জন নৈশ প্রহরী। ১৩ জন নৈশ প্রহরী থাকা সত্ত্বেও রবিবার রাতে গন্ডাছড়া মহকুমা সদরের সব্জি বাজারের দুইটি দোকানের পাশাপাশি মাঝখানে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুনে দুই দোকানের মাঝের পার্টিষণ পুড়ে টিনের চাল পেড়িয়ে আগুনের লেলিহান শিখা এবং ধোঁয়া বের হতে থাকে কিন্তু বেখবর ছিল বাজারের নৈশ প্রহরীরা। এরই মধ্যে আগুন এবং ধোঁয়ার গন্ধ পেয়ে পাশের দোকানের এক মালিক দোকান থেকে বের হয়ে দেখতে পান আগুনের লেলিহান শিখা। আগুন আগুন বলে চিৎকার করে নিজেই জল এবং বালি দিয়ে কিছুটা আয়ত্তে আনে আগুন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌছায় অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা। ততক্ষনে কাক ঘুম কাটিয়ে ঘটনা স্থলে পৌছায় বাজারের নৈশ প্রহরীর দল। আগুন আয়ত্তে আনার পর জনা কয়েক লোক দেখতে পান গন্ডাছড়া বাজারের এক ভবঘুরে লুকিয়ে রয়েছে এক দোকানের কোনে হাতেনাতে ধরা হয় ঐ ভবঘুরে ব্যক্তিকে। ঐ ভবঘুরের ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হয় মেকানিক্যালের বিভিন্ন সরঞ্জাম। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে বাজারে ১২ জন নৈশ প্রহরী থাকা সত্ত্বেও কি করে একজন ভবঘুরে রাতের অন্ধকারে বাজারে প্রবেশ করে একের পর এক দোকানে চুরিকান্ড ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত আগুন লাগিয়ে গোটা বাজারকে নাশকতার সৃষ্টি করতে পারলো। তা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী মহল। অভিযোগ প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর সব্জি বাজার লাগোয়া শনিতলা বাজারটি একাংশ হার্মাদ বাহিনীর দখলে চলে যায়। বাজার ধ্বংসের পেছনে ঐ হার্মাদ বাহিনীও কম দায়ী নয়। ধীরে ধীরে টের পাচ্ছে বাজার ব্যবসায়ী কমিটিও।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*