আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ এপ্রিল ||আগরতলার সুকান্ত একাডেমিতে বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশ আইন সেলের উদ্যোগে আয়োজিত “এক দেশ এক নির্বাচন” বিষয়ক আলোচনাসভায় মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ মানিক সাহা বলেন, বারবার নির্বাচন দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি করছে, প্রচুর অর্থ অপচয় হচ্ছে এবং স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি বলেন, “যদি ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ কার্যকর হয়, তবে জনগণ আরও সুষ্ঠুভাবে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।”
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও জনমুখী ও উন্নয়নমুখী করার লক্ষ্যে এই বিলটি সংসদে উত্থাপন করেছে।
ডাঃ সাহা আরও বলেন, “তিন তালাকের সময় অনেকে সমালোচনা করেছিল, বলেছিল দাঙ্গা হবে। কিন্তু মোদীজি সেটা বন্ধ করে দিলেন, এবং কিছুই ঘটেনি। মোদীজি সিদ্ধান্ত নেন এবং বাস্তবায়ন করেন। স্বাধীনতার পর একমাত্র দুইজন প্রকৃত নেতা ছিলেন—অটল বিহারী বাজপেয়ী ও নরেন্দ্র মোদী।”
তিনি ওয়াকফ জমি সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ করে বলেন, “ওয়াকফের নামে সরকারিভাবে জমি দখল করছিল অনেকেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তা সংশোধনের কথা বলেন এবং এখন তা আইন হয়েছে—ওয়াকফ সংশোধন আইন, ২০২৫।”
তিনি আরও জানান, নতুন অপরাধবিষয়ক আইন অনুযায়ী এখন যে কেউ যেকোনো থানায় গিয়ে এফআইআর করতে পারবেন।
“অনেক দেশেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ চালু হয়েছে। আমাদের দেশেও এটি হওয়া উচিত। ২০৪৭ সালের ‘বিকশিত ভারত’ গড়তে হলে দুর্নীতি ও খারাপ প্রথা মুক্ত হতে হবে। বিরোধীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন,” বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, ত্রিপুরা বিধানসভার চিফ হুইপ কল্যাণী রায়, বিজেপি’র সহ-সভাপতি সুবল ভৌমিক ও সমাজকর্মী ডাঃ অশোক সিনহা।
