বিশ্বশ্বর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ২২ এপ্রিল || বনদস্যুরা প্রতিনিয়ত বন ধ্বংস করে যাচ্ছে। কিছু সংখ্যক লোকজন প্রতিনয়ত বনে অগ্নিসংযোগ ঘটাচ্ছে। প্রতিনয়ত বন ধ্বংসের কারনে প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট হবার পাশাপাশি বনে থাকা বিভিন্ন জীবজন্তুরা শহর এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় খুজছে। শান্তিরবাজার বন দপ্তরের কর্মীরা শুধুমাত্র কামাই বানিজ্যে ব্যস্ত বলে অভিযোগ। অর্থের বিনিময়ে বনদস্যুদের নিকট নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছে বন দপ্তরের কর্মীরা, এমনটাই অভিযোগ। বগাফা ফরেষ্ট রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা চাইছা মগ শরনার্থীদের ক্যাম্পে বিভিন্ন প্রজেক্টের বিশাল অঙ্কের অর্থ নয় ছয় করার অভিযোগ উঠে আসছে। শান্তিরবাজার দিয়ে প্রতিনিয়ত চোরাই কাঠ নিয়ে যাচ্ছে বনদস্যুরা। বৈধ কাগজপত্র ছারা নদী থেকে বালু উঠানো ও পরিবহন করা হচ্ছে। এই সকল চোরইকারবারীদের কাছ থেকে মাসোহারা নিয়ে দিব্যি আরামে চলছে বগাফা ফরেষ্ট রেঞ্জের কর্মীরা। এই অর্থের কিছুটা ভাগ যাচ্ছে মহকুমার বন আধিকারিক বাবুল মগ ও জেলার বন আধিকারিকের নিকট। তাই উনারা বন দপ্তরের বিভিন্ন দুর্নিতির কথা জেনেও নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
এরইমধ্যে মঙ্গলবার বগাফা ফরেষ্ট রেঞ্জ থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে উত্তর পাড়ায় বিরল প্রজাতির লজ্বাবতি বানর উদ্ধারের ঘটনার খবর পেয়েও গরিমসি করে আসতে দেখা যায় বন দপ্তরের কর্মীদের। উনাদের কাছ থেকে দেরিতে আসার কারন জানতে চাইলে উনারা সঠিক কোনো সৎ উত্তর দিতে পারেননি। পশুদের বিভিন্ন প্রকারের উদ্ধার কাজে থাকা একটি সংস্থার সদস্য এসে এই বিরল প্রজাতির বানরটিকে উদ্ধার করে। মূল লক্ষ্য এই বানরের ও এলাকার লোকজনের যাতে করে কোনোপ্রকার ক্ষতি না হয়। এই যুবকের কাজে সকলে প্রসংশা করেছে। অপরদিকে বগাফা বন দপ্তরের এইধরনের কার্যকলাপে সকলে দপ্তরের কাজ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলছে। বগাফা বন দপ্তরের এলাকায় পশু পাখিরা সুরক্ষিত নয় তা আবারো প্রমানিত হলো।