পৃথিবীর প্রথম মানুষ, যার মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপিত হবে অন্যের দেহে

jfjআন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। চোখের প্রতিস্থাপন। কিডনির প্রতিস্থাপন। হৃদপিণ্ডের প্রতিস্থাপন। চিকিৎসায় একের পর এক ধাপ পেরিয়েছে বিজ্ঞান। বাকি ছিল শুধু মস্তিষ্কের প্রতিস্তাপন। এও কি সম্ভব? 
চিকিৎসা বিজ্ঞানে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখাচ্ছে রাশিয়া। ৩০ বছরের ভ্যালারি স্পিরিডিনভের মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপিত হতে চলেছে অন্য মানুষের দেহ। এই দুঃসাহসিক অপারেশনটি হতে চলেছে ২০১৭ সালে। অনেকেই এই প্রতিস্থাপনের সফলতা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন। ‘আদেও কি সফল হবে মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন’? প্রশ্ন আর বিস্ময় যতই দানা বাধুক, বিজ্ঞানের অগ্রগতির দিকে এই দুঃসাহসিক পদক্ষেপকে কুর্নিশ করছে গোটা বিশ্ব।
রাশিয়ার ভ্যালারি স্পিরিডিনভ এখন হফম্যান রোগে আক্রান্ত। মস্তিষ্ক বাদে পুরো দেহটাই অকেজ হয়ে গেছে তাঁর। হুইল চেয়ারে কাটছে জীবন। মৃত্যুর আগে নিজের মস্তিষ্ক দিয়ে যেতে চান অন্যের দেহে। তাঁর এই ইচ্ছেকেই সম্মান জানাতে চলছে পরীক্ষা নিরীক্ষা। সফল কিংবা অসফল, ফলাফল যাই হোক না কেন, মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপনে প্রথম নজির গড়তে চলেছেন ৩০ বছরের ভ্যালারি স্পিরিডিনভ।
ইতালিয়ান স্নায়ুবিজ্ঞানী ডঃ সার্জিও ক্যানভারো দাবি করছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি এই দুঃসহ কাজ করতে পারবেন। ‘মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপনে সফলতা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে ৯০%। কিন্তু এটাও সত্যি, এক্ষেত্রে কিছুটা ঝুঁকিও রয়েছে। আমি তা অস্বীকার করতে পারিনা’, মন্তব্য ডঃ সার্জিও ক্যানভারোর। তবে এই দাবিতে সর্বতোভাবে সহমত দিতে পারছেন না অনেকেই। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের চিকিৎসকরা মনে করছেন, এখনও পর্যন্ত ভ্যালারি স্পিরিডিনভের মস্তিষ্ক কাজ করছে। কিন্তু তা প্রতিস্থাপনের পর সেটি আর কাজ করবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ রয়েছে।
তবে নিজের মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপনে আশাবাদী ভ্যালারি স্পিরিডিনভ। তিনি বলেন, ‘যদি আমি আমার গোটা দেহ প্রতিস্থাপনের সুযোগ পেতাম, আমি পরাধীনতা থেকে মুক্তি পেতাম’।
এই প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে প্রথমত যেই ব্যাক্তির দেহে মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন করা হবে, তাঁর দেহের সমস্ত কোষ গুলিকে সংরক্ষন করতে হবে। অপারেশনের সময় সেই কোষ গুলির মৃত্যু হলে এই প্রতিস্থাপন কখনই সফল হবে না। এরপর খেয়াল রাখতে হবে রক্ত সঞ্চালনের দিকেও। এক্ষেত্রে আরও প্রয়োজন মস্তিষ্ক পর্যন্ত রক্তের সঞ্চালন। অপারেশন চলার সময় দেহের এবং মস্তিষ্কের তাপমাত্রা রাখতে হবে ১০ ডিগ্রী থেকে ২০ ডিগ্রীর মধ্যে। এই জটিল অস্ত্রপচারে স্পাইনের প্রতিও হতে হবে যত্নবান। ‘এই প্রতিস্থাপনটি সম্পূর্ণ গবেষণামূলক’ মন্তব্য লন্ডনের জর্জ হাসপাতালের ডাক্তার মেথিউ ক্রোকারের। সূত্র : জিনিউজ

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*