বিশ্বেশ্বর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ২৭ সেপ্টেম্বর ৷। গণমুক্তি পরিষদের মিছিল ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয় শান্তিরবাজার পতিছড়ী ড্রপগেইট এলাকায়। রবিবার উপজাতি গণমুক্তি পরিষদের শান্তিরবাজার বিভাগীয় কমিটির উদ্দ্যোগে ১১ দফার দাবির ভিত্তিতে মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন গণমুক্তি পরিষদের শান্তিরবাজার মহকুমা সম্পাদক পরিক্ষিৎ মুড়াসিং, গণ আন্দোলনের নেতা শ্রীমন্ত দে, অঞ্চল কমিটির সম্পাদক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। গণমুক্তি পরিষদ কতৃক আয়োজিত এই মিছিলটি শান্তিরবাজারের মুড়াসিং পাড়া ও উত্তর তাকমা দুই জায়গা থেকে পৃথকভাবে সংগঠিত হয়ে ড্রপগেইট এলাকায় এসে পথ সভায় মিলিত হবার কথা ছিলো। এরই মধ্যে উত্তর তাকমা থেকে একটি মিছিলের র্যালি ড্রপগেইট সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে ড্রপগেইট এলাকায় কিছু সংখ্যক বাইক বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। পরবর্তী সময় মুড়াসিং পাড়া থেকে আগত র্যালির লোকজন ড্রপগেইট এলাকায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে সকলে একত্রিত হয়ে বাইক বাহিনীর উপর পাল্টা আক্রমন শুরু করে। এতে করে বাইক বাহিনী বাইক রেখে প্রান রক্ষার জন্য পালিয়ে যায়। এরই মধ্যে গণমুক্তি পরিষদের কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বাইক বাহিনীর বাইক গুলো ভাংচুর করে। পরবর্তী সময় ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিশ বাহীনি। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এই মিছিল সম্পর্কে পুলিশের প্রতিক্রিয়ায় শান্তিরবাজার থানার ওসি সুব্রত চক্রবর্তী জানান, প্রসাশনিক কোনো প্রকার অনুমতি ছারাই গণমুক্তি পরিষদের কর্মীরা এই মিছিল সংগঠিত করেছে। যার ফলে পরবর্তী সময় উনারা কোনো প্রকার পথসভার আয়োজন করতে পারেননি। এই মিছিল ও সংঘর্ষকে ঘিরে সমগ্র শান্তিরবাজার এলাকা জুরে অশান্তির বাতাবরন সৃষ্টি হয়েছে।