দপ্তরের খামখেয়ালীপনায় নেশার মৃগয়াক্ষেত্রে পরিনত বগাফা ইকোপার্ক

বিশ্বেশ্বর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ৷। বগাফা বন দপ্তরের খামখেয়ালীপনায় নেশার মৃগয়াক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে বগাফা ইকোপার্ক এমনটাই অভিযোগ। বিগত বাম আমলে তৈরি বগাফা ইকোপার্ক বর্তমানে দপ্তরের খামখেয়ালীপনায় নেয়ার মৃগয়াক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। শান্তিরবাজর পৌর এলাকায় ছোট্ট শিশুদের বিনোদনের কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেই। যাও একটি ইকো পার্ক ছিলো তা বর্তমানে নেশা কারবারীদের দখলে এমনটাই অভিযোগ। পার্কের প্রবেশ পথে বড় আকারে লেখা রয়েছে প্রবেশমূল্য ৬ টাকা.। কিন্তু পার্কে কর্মরত কর্মীদের সঙ্গে ও পার্কে আগত লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই পার্কে প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা করে রাখা হয়। তাছাড়া পার্কে দেখার মতো কিছুই নেই। এই পার্কে বিগতদিনে বিনোদনের জন্য যেসকল সামগ্রী ছিলো তা বর্তমানে ধ্বংসের পথে। এই পার্কের সবত্র ছরিয়ে রয়েছে নেশাসামগ্রীর বিভিন্ন জিনিষপত্র এমনটাই চিত্র লক্ষ্য করা যায়। এই পার্কের উন্নয়ন নিয়ে পার্কে আগত লোকজনের বিগত দিনে পার্কে দায়িত্বে থাকা বীট অফিসার জোতিরময়, বগাফা বন দপ্তরের রেঞ্জার সুমন ভৌমিক ও বগাফা বন দপ্তরের এস ডি এফ ও জয়নাল্য আচার্য্যকে জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। লোকগুঞ্জনে শুনা যাচ্ছে এই তিন আধিকারিক পরোক্ষভাবে নেশাকারবারিদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। যার ফলে এই ইকো পার্ক নেশার মৃগয়াক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। রেঞ্জ অফিসের ঢিল ছোড়া দুরত্বে পার্কের মধ্যে নেশার রমরমা চলার ফলে পার্কে দায়িত্বে থাকা অফিসার, রেঞ্জার ও এস ডি এফ ও’র কাজে সবদিকে ছিঃ ছিঃ রব উঠেছে। পার্কের কর্মরত কর্মী ও পার্কে আগত পর্যটকরা চাইছে এই পার্কটিকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হোক।  যাতে করে শহরাঞ্চলে বসবাসকারী লোকজনদের ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের বিনোদনের জন্য পার্কটি ব্যাবহার করা যায়। এতে করে দপ্তরের আয় বৃদ্ধী পাবে ও ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের বিনোদন হবে বলে আশা ব্যক্ত করছেন অভিঞ্জ মহল।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*