শিক্ষক সংকটে ভুগছে দুপিড়াবান্দ উচ্চ বিদ্যালয়

আপডেট প্রতিনিধি, বক্সনগর, ২৫ ডিসেম্বর || শিক্ষায় উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি এই বক্তব্যটি শিক্ষিত সমাজের কাছে অত্যন্ত পরিচিত। সম্ভবত এই কারনেই শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি স্তরে নানা ধরনের গড়ে উঠেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ত্রিপুরা রাজ্যের প্রধানত সরকারি উদ্যোগে শিক্ষার বিস্তার খরচ করা হচ্ছে লক্ষ কোটি টাকা। অথচ সরকারি এই উদ্যোগকে কলঙ্কিত করার জন্য রীতিমতো উঠেপড়ে লেগে থাকেন কিছু ব্যক্তি, তারা আবার ঘটনাচক্রে শিক্ষা বিস্তারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কল্যাণে রাজ্যের শিক্ষা বিস্তার এবং উন্নয়নের হচ্ছে প্রচন্ডভাবে শিক্ষার মানে নিচে নিয়ে যাচ্ছে, এমনই অভিযোগ শিক্ষানুরাগী মহলের। একাংশ বিদ্যালয় রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের প্রচন্ড সংকট। আবার কয়েকটি বিদ্যালয় সহ চলছে খামখেয়ালিপনা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ফলে বক্সনগর ব্লক এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবক অভিভাবকরা পড়েছেন বিপাকে। এই কারণে সরকারি সম্পদ জলে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে সরকারি অর্থের অপচয়ের পাশাপাশি এই সমস্যার শিক্ষার মান নামছে। ক্ষতি হচ্ছে সামাজিক পরিবেশে বক্সনগর দুপিড়াবান্দ অবস্থিত উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকার। তাদের বক্তব্য এই বিদ্যালয় ২৫০ এর বেশী ছাত্র-ছাত্রী আছে। তাদের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে মাত্র পাঁচজন। উল্লেখিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন না বলে অভিযোগ। পাঁচজন শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে বিদ্যালয়ে মাত্র একজন উপস্থিত থাকে। মাত্র পাঁচজন শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে ২ জন অন্যত্র কর্মরত রয়েছেন, ২ জন রয়েছেন মাধ্যমিক পরীক্ষার দায়িত্বে। একজন দিয়ে চলছে এই বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন। আর তাতেই অনুমান করা যাচ্ছে যে বিদ্যালয়টি কি অবস্থায় রয়েছে। এমন অবস্থা চলছে কলমচৌড়া থানা এলাকার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষেত্র এমনই অভিযোগ এলাকার অভিভাবক মহলের। দ্রুতই বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিতে হবে আর তা না হলে তারা গণ আন্দোলন শুরু করতে বাধ্য হবে বলে জানান অভিবাবক। এমন পরিস্থিতিতে চলছে বক্সনগর প্রায় সবকটি বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই এলাকার অভিভাবক মহলে রীতিমতো চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন নিজেদের সন্তানদের নিয়ে।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*