সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ০৮ অক্টোবর || গন্ডাছড়া মহকুমায় আচমকা প্রাক্তন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিকের সফর এবং শরণার্থী শিবির পরিদর্শন ও শরণার্থীদের মধ্যে লক্ষ টাকার বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেওয়ার মতো একটি নজরকারা অনুষ্ঠানে কেন উপস্থিত ছিলেন না স্থানীয় বিজেপি নেতারা? তা নিয়ে এখন গন্ডাছড়া মহকুমায় সাধারণ মানুষের চলছে গুঞ্জন, চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১২ই জুলাই রাতে অনাকাঙ্খিত একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গন্ডাছড়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৪৪৬ জন সর্বস্য হারিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতায় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ভবনে অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেয়। মহালয়ার দিনে হঠাৎ গন্ডাছড়া সফরে আসেন রাজ্যের প্রাক্তন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক। গন্ডাছড়া সফরে এসেই প্রাক্তন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক সোজা চলে যান গন্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের অস্থায়ী শরণার্থী শিবিরে। সেখানে শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং শিবিরবাসীদের বসিয়ে সকলের মধ্যে ভাত তরকারি বিতরণ করে সকলের সঙ্গে বসে নিজেও খাওয়া দাওয়া করেন। খাবারের পর নিজ হাতে সকল শিবিরবাসীদের মধ্যে কয়েক লক্ষ টাকার মশারি, শাড়ি, কম্বল ধুতি হাঁড়ি পাতিল, চালডাল আরো দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় বহু সরঞ্জাম বিতরণ করেন।
ততক্ষন পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। বিজেপি দলের সাধারণ কর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন যে প্রতিমা ভৌমিকের মতো রাজ্যের একজন জাদ্রেল নেত্রী গন্ডাছড়া মহকুমা সফর করে গেলেন, শরণার্থী শিবিরে প্রায় তিন ঘন্টা অবস্থান করে গেলেন অথচ স্থানীয় কোন নেতানেত্রীকে সাধারণ মানুষের নজরে পড়লো না। রাইমাভ্যালী মন্ডলের কোনো নেতা নেত্রী এবং জেলা স্তরের কোন নেতাকেই প্রতিমা ভৌমিকের অনুষ্ঠানে দেখা গেলো না। সকলের মনেই একটা প্রশ্ন কেন এবং এর পেছনে কারণ কি? ওইদিনের প্রতিমা ভৌমিকের সফর এবং শিবিরে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিজেপি কর্মী তপন চৌধুরী এবং সুজিত দাস। রাজ্যের প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্যের জাদ্রেল নেত্রীর অনুষ্ঠানে কেন রাইমাভ্যালীর কেন অনুপস্থিত। তা নিয়ে ভিষণভাবে ভাবাচ্ছে সাধারণ দলীয় কর্মী এবং গন্ডাছড়া মহকুমাবাসীকে।
