বিশ্বশ্বর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ২৪ মার্চ || নতুন কমিটি গঠন করার পরেরদিন রাত্রিবেলায় নেশাসামগ্রী সহ দুই যুবককে আটক করে স্থানীয় লোকজনেরা।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শান্তিরবাজার মহকুমার রাজাপুর ভিলেজ এলাকায় নেশার রমারমা বানিজ্য চলার ফলে পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে এলাকাবাসীর যৌথ প্রচেষ্টায় মহিলা ও পুরুষদের মধ্যে বাছাই করে নেশাবিরুধী অভিযানে কমিটি গঠন করা হয়। রবিবার সকলের আলোচনাক্রমে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের একদিনের মধ্যে অর্থাৎ সোমবার রাত্রিবেলায় এলাকায় নবজিৎ দেবর্বমা ও সপ্তম দেবর্বমা নামে দুই যুবককে আটক করে স্থানীয় লোকজনেরা। দুই যুবকের কাছ থেকে কিছু পরিমান নেশা সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় নবজিৎ দেবর্বমার বাড়ীতে তল্লাসি চালিয়ে বিপুল পরিমানে নেশা সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। নেশা সামগ্রী উদ্ধার করে শান্তির
বাজার থানা বাবুদের ও মহকুমার পুলিশ আধিকারিকদের খবর দেওয়া সত্বেও উনাদের কোনোপ্রকার হেলদোল নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বিগতদিনেও এলাকার লোকজনেরা এক নেশাকারবারীকে আটক করে দিলেও মহকুমার পুলিশ আধিকারিক বাপ্পি দেবর্বমা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘুরে আসেন। কিন্তু নেশাকারবারীর বিরুদ্ধে কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করতে দেখা যায়নি। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সহ কিছু সংখ্যক পুলিশ কর্মী অর্থের বিনিময়ে নেশাকারবারীদের কাছে নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছে। তাই শান্তিরবাজার থানার পুলিশকে নেশাবিরোধী অভিযান করতে দেখা যায় না।
সোমবার রাত্রিবেলায় নেশাকারবাীদের আটক করে পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও দীর্ঘ প্রায় ২ ঘন্টা পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। শান্তিরবাজার থানার পুলিশের এই ধরনের গরিমসী দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে পরে স্থানীয় লোকজনেরা। যার ফলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে উনাদের কৃতকার্যের জন্য সকলের ক্ষোভের মুখে পরতে হয়। অবশেষে কোনোপ্রকার নেশাকারবাীদের নিয়ে শান্তিরবাজার থানায় আসে পুলিশ। শান্তিরবাজার থানার অধীনে বিভিন্ন জায়গায় নেশার রমরমা ব্যবসা চলছে। পুলিশ একটু সচেষ্ট হলে এই নেশাকরবারীদের আটক করতে পারে। কিন্তু নেশাকারবারীদের আটক করতে পুলিশ কেন পিছু পা হচ্ছে তানিয়ে সকলের মনেপ্রশ্ন জাগছে। এখন দেখার বিষয় রাজাপুর ভিলেজের লোকজনেরা যেইভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে, নেশাকারবারীদের আটক করে দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কি প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করে।