গোপন আবদারে সাড়া না দেওয়ার অভিযোগে বৌদিকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা দেওরের

সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ২৫ মার্চ || দেওরের কোন এক গোপন আবদারে সাড়া না দেওয়ায় কয়েকদিন ঝগড়া এবং বাক বিতন্ডা শেষে ধৈর্য্য না রাখতে পেরে মঙ্গলবার দিনদুপুরে কেরোসিন ঢেলে বৌদিকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করলো ছোট ভাই সমতুল্য দেওর। দেওরের আক্রোশে ৭৫ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ বৌদিকে সঙ্গে সঙ্গে গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎদার পর রোগিনীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আগরতলা জিবিপি হাসপাতালে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্য বিরাজমান। ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমার ডুম্বুরনগর ব্লকের অন্তর্গত রাইমা এডিসি বিজয়পাড়ার বাসিন্দা শান্তিকুমার চাকমা। পেশায় শান্তিকুমার একজন দিনমুজুর। ছেলে, মেয়ে এবং স্ত্রী মিলি চাকমাকে নিয়ে মোটামোটি সুখের সংসার। শান্তিকুমার চাকমার ছোটভাই লক্ষীকুমার চাকমা। নিজ গ্রামে লক্ষীকুমার একজন মদ্যপ চরিত্রহীন যুবক হিসাবে পরিচিত। অভিযোগ, গত বেশ কয়েকদিন যাবত দেওর লক্ষীকুমার চাকমা তার বৌদি মিলি চাকমার সঙ্গে সময়ে অসময়ে ঝগড়া করে আসছিলো। অভিযোগ দেওরের গোপন কোন আবদারে সাড়া দিচ্ছিলো না বৌদি মিলি চাকমা। উক্ত ঘটনা নিয়ে ঝগড়া চরম পর্যয়ে পৌছায় সোমবার রাতে। যদিও ঝগড়াকালে বড় ভাই শান্তিকুমার বাড়িতে চলে আসায় তেমন সুবিধা করতে পারেনি মদ্যপ ছোটভাই লক্ষীকুমার। মঙ্গলবার সকাল থেকেই আকণ্ঠ মদ পান করে লক্ষীকুমার চাকমা। দুপুর নাগাদ বড়ভাই শান্তিকুমার চাকমা বাড়ীর পাশেই কাজে যান। মেয়ে উঠানে খেলা করছিলো। এমন সময় প্রচন্ড নেশাসক্ত হয়ে লক্ষীকুমার বৌদি মিলির ঘরে প্রবেশ করে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘরের ভিতর থেকে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার আসলে প্রথমে ছুটে যায় মিলি চাকমার মেয়ে। মেয়ের চিৎকারে ছুটে আসেন মিলির স্বামী শান্তিকুমার। পালিয়ে যায় লক্ষীকুমার চাকমা। সকলে মিলে এবং অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীদের সহযোগীতায় ৭৫ শতাংশ দেহ আগুনে ঝলসানো মিলিকে আনা হয় গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর রোগীনিকে আহরতলা জিবিপি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তুমুল চঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*