তারায় তারায় ডেস্ক ৷৷ প্রয়াত হলেন দক্ষিণ ভারতের বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী এম বালমুরলীকৃষ্ণ। বেশ কিছুদিন যাবৎ অসুস্থ ছিলেন ৮৮ বছরের এই প্রবীণ গায়ক। এদিন নিজের বাসভবনেই মারা যান কন্নড় সঙ্গীতের এই প্রথিতযশা শিল্পী। পুরো নাম মঙ্গলমপল্লি বালমুরলীকৃষ্ণ। অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার সঙ্করগুপ্তম এলাকার আদি বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন ধরে চেন্নাইতে বসবাস করতেন বালমুরলীকৃষ্ণ। মাত্র ৬ বছর বয়সেই সঙ্গীতের দুনিয়ায় পদার্পণ করেন বালমুরলীকৃষ্ণ। সেখান থেকে কন্নড় সঙ্গীতের দিকপাল হয়ে ওঠেন তিনি। শুধু গান গাওয়াই নয়, তেলুগু, সংস্কৃত, কন্নড় ও তামিল ভাষায় ৪০০-এর ওপর গান রচনা করেছেন বালমুরলীকৃষ্ণ। এখানেই শেষ নয়। তিনি বহু রবীন্দ্রসঙ্গীতও গেয়েছেন। বহু দক্ষিণী চলচ্চিত্রেও তাঁর গাওয়া ও রচিত গান স্থান পেয়েছে এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এককথায় কন্নড় সঙ্গীত জগতের তিনি একজন প্রকৃত নক্ষত্র ছিলেন। সবচেয়ে বড় কথা, তাঁর বিনম্র ব্যবহারের জন্য তিনি সমাজের প্রতিটা স্তরের মানুষের কাছে সমান গ্রহণযোগ্য ছিলেন। শুধু দক্ষিণী নয়, হিন্দুস্তানী সঙ্গীত জগতেও সমান জায়গা দখল করেছিলেন বালমুরলীকৃষ্ণ। আটের দশকে দূরদর্শনে জাতীয় সংহতি-র জন্য ‘মিলে সুর মেরা তুমহারা’ তাঁকে দেশের প্রতিটি কোনায় কোনায় পৌঁছে দেয়। সেখানে পণ্ডিত ভীমসেন জোশী, কিশোরী আমোনকর, হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়া, পণ্ডিত যশরাজ এবং জাকির হুসেনের সঙ্গে তাঁর যুগলবন্দি আজও চর্চিত। বালমুরলীকৃষ্ণকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান – পদ্মবিভূষণ প্রদান করা হয়। এছাড়া, তাঁকে সাম্মানিক শভ্রেলিয়র দ্য লধরে দেজ আর এ লত্রে পুরস্কার দেয় ফরাসি সরকার। বালমুরলীকৃষ্ণর মৃত্যুতে সঙ্গীতের দুনিয়ায় নেমে এসেছে শোকের আবহ। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন তামিনলাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু, তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, তেলঙ্গনার রাজ্যপাল এএসএল নরসিংহ সহ বহু বিশিষ্টজনেরা।