জমি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেপ্তার শিল্প দপ্তরের প্রাক্তন অতিরিক্ত অধিকর্তা কাইজার

আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ ফেব্রুয়ারী || অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন বহু কেলেঙ্কারির নায়ক  শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রাক্তন অধিকর্তা কাইজার দেববর্মা। জমি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাকে। ১৩৩ কানি জমি কেলেঙ্কারি মামলায় অনেকে গ্রেফতার হলেও নিরাপদে ছিলেন কাইজার দেববর্মা। শিল্প দপ্তরের প্রাক্তন অতিরিক্ত অধিকর্তা কাইজার দেববর্মা আগেও অভিযুক্ত হয়েছেন দুর্নীতির মামলায়।
২০২৩ সালের ১২ই জুলাই দিল্লির একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ছিলেন আরও পাঁচজন। কিন্তু বাদ গিয়েছিলেন কাইজার দেববর্মা। তবে দুই বছর পর শেষ পর্যন্ত কাইজারকে কৃষ্ণনগরে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিম থানার পুলিশ। জমি কেলেঙ্কারির মামলাটি লিপিবদ্ধ করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের নয়ডার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এডুকেশন মিশনের অধিকর্তা হিমাংশু পাঞ্চাল। কাইজার দেববর্মা  ছাড়াও উত্তম সাহা, দেবাশিস চক্রবর্তী, সুব্রত আচার্য, রাজেশ ত্রিপুরা ও বিপ্লব শর্মার নামে দায়ের করা হয়েছিল মামলা।
সম্প্রতি গ্রেফতার করে পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল ইউটিউবার সাংবাদিক রাজেশ ত্রিপুরাকে। এর পর থেকেই উঠে আসে কাইজার দেববর্মার নাম। অভিযোগ, দিল্লির ওয়ার্ল্ড এডুকেশন মিশনকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৩৩ কানি জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। মোহনপুর মহকুমা শাসক অফিস থেকে তৈরি করা হয় নকল জমির দলিল। এ বিষয়ে মোহনপুর মহকুমা শাসকের কাছে দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগ
লিপিবদ্ধ হওয়া মামলা অনুসারে দিল্লীতে শিল্পোদ্যোগী মেলায় কাইজার সহ অভিযুক্তদের কয়েকজনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ওয়ার্ল্ড এডুকেশন মিশনের অধিকর্তার। ত্রিপুরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার জন্য আগে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল বেসরকারি সংস্থাটি। তাদের সঙ্গে প্রথমে আলোচনা হয় শিল্প দপ্তরের কাইজারের। এরপর বোধজংনগরে দেখানো হয় জমি। জানা যায়, অভিযোগকারীর কাছ থেকে এক কোটি ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। এই টাকার বদলে ৪৮.৫২ একর জমির হস্তান্তরের প্রক্রিয়া হয়।
উত্তরপ্রদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্থাটি পরবর্তী সময়ে বুঝতে পারে প্রতারণা হয়েছে তাদের সঙ্গে। প্রতারণা বুঝতে পেরে মোহনপুর মহকুমা শাসকের কাছে দায়ের করা হয় অভিযোগ। কিন্তু এই অভিযোগের কিছুই হয়নি। শেষ পর্যন্ত থানায় মামলা দায়ের করার পর শুরু হয় গ্রেপ্তার অভিযান। ২০২৩ সাল থেকে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় উত্তম সাহা, সুব্রত আচার্য, রাজেশ ত্রিপুরা ও দেবাশীষ চক্রবর্তী সহ অন্য অভিযুক্তদের। কিন্তু রহস্যজনকভাবে এতদিন গ্রেপ্তার হননি কাইজার দেববর্মা।
তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৫, ৪৬৬, ৪৬৮, ৪৭১,৪৭২, ৪৭৩, ৪৭৪, ১২০ বি, ১৬৬, ২৫৫, ৪০৩ ধারায় মামলা দায়ের করা হয় পশ্চিম আগরতলা থানায়। শেষ পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপার্দো করে পুলিশ।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*